সংগীত ও সাংস্কৃতিক শিক্ষায় অগ্রনী ভূমিকা পালনকারী গৌরবদীপ্ত ও ঐতিহ্যমন্ডিত বাফা’র ৬৫বছরে পদার্পন (১৯৫৫-২০২০)
নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরী’র মৃত্যুর পর, ১৯৫৪ সালের ২৮ মে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব আবুল মনসুর আহমদের সভাপতিত্বে প্রথম শোকসভা অনুষ্ঠিত হয় কার্জন হলে। এ সভায় তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষে একটি একাডেমী প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ. কে. ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীকে পৃষ্ঠপোষক করে এবং মাহমুদ নূরুল হুদাকে আহ্বায়ক করে ৬০ সদস্যের একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। পরে প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক সৈয়দ অয়ালীউল্লাহর উদ্যোগে ঢাকা সার্কিট হউজে একাডেমী প্রতিষ্ঠার বিষয়ে নীতি নির্ধারণী আলোচণা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ প্রস্তাবিত ললিতকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগীতার অঙ্গীকার করেন। পরের বছর অর্থ্যাৎ ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারী বুলবুলের ৩৬তম জন্মবার্ষিকীতে ঢাকা জেলা বোর্ডে এক সভায় একাডেমী প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রসপেক্টাস ও সিলেবাস রচনা করা হয়। ১৯৫৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বুলবুল স্মৃতি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। এ কনভেনশন অনুষ্ঠানে বেগম লিয়াকত আলী খানকে সভানেত্রী ও বিচারপতি এম ইব্রাহিমকে কার্যকরী সভাপতি করে এবং মাহমুদ নূরুল হুদাকে সাধারন সম্পাদক করে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৫৫ সালের ১৭ মে বুলবুলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ৭নং ওয়াইজঘাটে বিচারপতি এম. ইব্রাহিম বুলবুল একাডেমীর শুভ উদ্ভোদন করেন।